স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে গরুর মাংস বিক্রি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মাংসের মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মাংস বিক্রেতারা। কিন্তু স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রয় করতে হবে। অন্যথায় বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত যেন লাভজনক হয়, তা হিসেব করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা। এতেও উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেকের লাভ হিসেব করেই ধরা হয়েছে। সারাদেশেই এই মূল্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না বলে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবে। কেউ অতিরিক্ত মাংসের মূল্য নিলে তা আমরা দেখবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, ‘আপনারা আজকে যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রয় কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রয় করতে পারবেন না।এখন অতিরিক্ত দরে বিক্রয় করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করবেন। তাই দোকান বন্ধ করছেন। অন্য ৬৩ জেলায় বিক্রয় করতে পারলে, এখানে কেন পারবেন না? তখন জেলা প্রশাসক ব্যবসা চালু রাখার কথা বলেন এবং স্মারকলিপির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনে মাংস বিক্রয় করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply